ঝিনাইদহে ৩০ বৌ-যাত্রী নিয়ে সাংবাদিক বরের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে করলো কনে

অন্যান্য

ডেস্ক রিপোর্ট :
রীতি নিয়ম ভেঙে এবার বরের বাড়িতে বিয়ে সম্পন্ন করতে গেলেন কনে।
১৩ জুলাই (বুধবার) দুপুরে ঝিনাইদহের শৈলকুপার মনোহরপুর গ্রামে ব্যতিক্রমী এ বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হয়।বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে বিয়ে করতে যায় বর এমন প্রচলন চলে আসছে যুগের পর যুগ। চিরাচরিত নিয়ম ভেঙে এবার যাত্রীসহ কনে বরের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে করে তুমুল আলোচনায় এসেছেন। ব্যতিক্রমী এ ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে। বুধবার দুপুরে বিয়ের কনে যাত্রীদের নিয়ে স্বয়ং বরের বাড়িতে হাজির হয়ে বসেন বিয়ের আসনে। কনে শৈলকুপা উপজেলা শহরের অফিস পাড়ার আব্দুল কাদেরের মেয়ে ইতি সেলিনা ও বর একই উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের শামসুদ্দিন লস্করের ছেলে ঢাকার বেসরকারি টেলিভিশনের সংবাদকর্মী এম এ মালিক।

দুপুরে মনোহরপুর গ্রামের বরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সু-সজ্জিত মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে কনে আসেন বরের বাড়ি। প্রথানুযায়ী ফুল আর মিষ্টি মুখ করিয়ে কনেকে বরণ করে নেয় বর পক্ষের মুরব্বীরা। এরপর কনেকে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বসানো হয় নির্ধারিত স্থানেও। অপরদিকে বরকেও বসানো হয় স্থানে। সেখানেই ধর্মীয় বিধান মত বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের পর বরের বাড়িতেই রয়ে যায় কনে। বুধবার এমনই এক বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে।
প্রচলিত নিয়ম ভেঙ্গে বিয়ে করবেন দু’জনের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নেয় উভয় পক্ষের অভিভাবকরা। এমন সিদ্ধান্তেই তাদের এই ব্যতিক্রমী বিয়ে।

বিয়ে শেষে কনে ইতি সেলিনা বলেন, পুরুষ শাসিত সমাজের রীতি ভেঙ্গে কন্যা যাত্রী নিয়ে বরের বাড়িতে এসে বিয়ে করেছেন। পুরুষ শাসিত সমাজে নারীদের প্রতি-নিয়ত নির্যাতনের শিকার হতে হয়। আমি আমার এই বিয়ে দিয়ে ঐসব নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়েছি।
বর এম এ মালিক বলেন, আমি নারী পুরুষে সম অধিকারে বিশ্বাসী। আমাদের পরিবারের দু’পক্ষের সম্মতিতে কনে আমার বাড়িতে এসেছে। বিয়ে করেছি আমরা। আমি মনে করি এতে কিছু হলেও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয় ইতি সেলিনা, এম এ মালিকের। এই বিয়েতে কনে যাত্রী ছিল ৩০ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.