Doinik Bangla Khobor

কুমিল্লার সদরদক্ষিণে নির্ভয়পুর-জয়নগর রাস্তার বেহাল দশা চলাচলে চরম দুর্ভোগ অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ

এম শাহীন আলম :
কুমিল্লার সদর দক্ষিন উপজেলার ৬নং পূর্ব জোড়কানন ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড এলাকার তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধের ১১ নং সেক্টরের কাঠালিয়া ক্যাম্প কাঠালিয়া-নির্ভয়পুর-জয়নগর-মথুরাপুর সংযোগ সড়কটির বেহাল দশা একটু বৃষ্টি হলেই মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগে বন্দি হয়ে পড়ে পাঁচটি গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ,সরেজমিনে দেখা যায়,রাস্তাটি এমনি বেহাল দশা গাড়ী দিয়ে চলাচল করা তো দূরের কথা একটু বৃষ্টি/বর্ষা হলেই হেঁটে যাওয়াটাই কষ্টকর ব্যপার হয়ে দাড়ায়, অনুসন্ধানে সরেজমিনে জানা যায় উল্লেখিত ইউপি এলাকার ৩নং ওয়ার্ডে পাঁচটি মৌজার মথুরাপুর উত্তর পাড়া,জয়নগর,লক্ষীপুর আদর্শ গ্রাম,নির্ভয়পুর,তাড়াপুস্কুনী এই মৌজা গুলায় প্রায় পাঁচ হাজার লোকের বসবাস হলেও দুই হাজারের অধিক ভোটারও রয়েছে,সরেজমিনে ভোক্তভোগি এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানান আমাদের এলাকায় এক সময় বিদ্যুৎ ছিল না ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এই সড়কটি দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ১১নং সেক্টরের কাঠালিয়া ক্যাম্পে বাংলাদেশ সীমান্তে যাতায়াতের এই রাস্তাটি ছিল প্রধান রাস্তা,

এই ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধা চলাকালীন সময়ে ছিলেন সাবেক বিদ্যুৎমন্ত্রী রফিকুল ইসলাম তিনি তার মন্ত্রীত্ব থাকা অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চারণে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরন করতে কাঠালিয়া সীমান্তে আসেন তখন তিনি এসে দেখেন নির্ভয়পুর এলাকায় বিদ্যুৎ নেই তখন অল্প সময়ের মধ্যে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তিনি,এবং রাস্তাটির ব্যপারেও তিনি দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছিলেন,

এলাকাবাসী আরো জানান সাবেক বিদ্যুৎ মন্ত্রীর পাশাপাশি আমাদের এই নির্বাচনী আসনের এমপি বর্তমান মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল সাহেবও এই রাস্তাটির ব্যপারে কয়েকবার সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন কিন্তু ঘোষণা পর্যন্তই রয়ে গেল,সরেজমিনে এলাকাবাসী জানায় গত কয়েকদিন আগে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের সময় রাস্তাটি খারাপ ছিল সে সময় জয়নগরের একজন গর্ববতী মহিলাকে রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় থাকার কারনে সময় মতো মেডিকেল না নিতে পারায় তার গর্বের বাচ্চাটিকে বাঁচাতে পারেনি,এলাকাবাসী জানান আমাদের চলাচলের কষ্ট দূর হলো না,নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকার লোক সাংবাদিকদের জানান মথুরাপুর থেকে জয়নগর সংযোগ রাস্তাটি ইটের চলিং বাবদ ৪৩ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্পের টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ করা হলেও এক বছরের মাথায় রাস্তাটিরও বেহাল অবস্থা,

ঐ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী এলাকার লোকজন জানায় শুনেছি এই রাস্তাটির সংস্কারে সরকার ৪৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে কিন্তু কাজের বাজেট অনুযায়ী ৩ নম্বর ৪নম্বর ইট দিয়ে কাজ করার কারনে অল্প সময়ের মধ্যে রাস্তাটি আবারো নষ্ট হয়ে যায়,

তারা আরো জানান এই এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোক আছে যারা মাটির ব্যবসার সাথে জড়িত ,তাদের প্রচুর পরিমাণ মাটির ভর্তি ড্রাম ট্রাক যাতায়াতের কারনে রাস্তা গুলা আরো বেশি নষ্ট হয়েছে,রাস্তাটির বেহাল চিএ দেখে প্রতিবেদন সংগ্রহের সময় অএ ওয়ার্ড মেম্বার কে ঘটনার স্হলে আসার অনুরোধ করলেও মর্তুজা মেম্বার বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে গন-মাধ্যম কর্মীরাদের সাথে দেখা করতে রাজী হননি, এই রাস্তাটির বিষয়ে ৬নং পূর্ব জোড়কানন ইউপি’র ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার গোলাম মর্তুজার সাথে পুনরায় মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি গন-মাধ্যমকে জানান সদর দক্ষিন উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে তার এই রাস্তা দ্রুত সংস্কারের বিষয়ে কথা হয়েছে এ সপ্তাহের মধ্যেই রাস্তাটির সংস্কারের কাজ শুরু করবে,

এলাকাবাসী আরো জানান এবং সাংবাদিকদের কিছু ভিডিও চিএ তোলে ধরেন, ভিডিও গুলাতে স্পট দেখা যায় যে রাস্তার সু-রক্ষায় বিগত দিনগুলোতে কুমিল্লা সদরদক্ষিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিয়াম উদ্দিন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মাটি ব্যবসায়ীদের সতর্ক সহ মাটির ক্যারিং করা ড্রাম ট্রাক গুলোর ড্রাইভারদেরকে নগদ অর্থ জরিমানাও করেছিলেন,এমতাবস্থায় এই পাঁচ গ্রামের মানুষ তাদের রাস্তায় চলাচলের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে বর্তমান অর্থমন্ত্রীর আ হ ম মোস্তফা কামাল এমপি’র দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের জন্য বিশেষ ভাবে অাবেদনসহ অনুরোধ জানিয়েছেন ,