Doinik Bangla Khobor

কুমিল্লার তিতাসে ৪ বছরেও শেষ হয়নি বাজার ঘাটের নির্মাণ কাজ

জুয়েল রানা, তিতাস
কুমিল্লার তিতাসে ঠিকাদার ও প্রকৌশলীর গাফিলতির কারনে ৪ বছরেও শেষ হয়নি বাতাকান্দি বাজারের ঘাটের নির্মাণ কাজ। নির্ধারীত সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় বাজারের দোকানীরা যেমন হচ্ছে ভোগান্তির শিকার ঠিক তেমনিভাবে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত শ্রমিক খরচ। অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক-আইডিএ অর্থায়নে এবং সেকেন্ড রুলাল ট্রান্সপোর্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট(আরটিআইপি) আওতায় ১,৬৮,৬৫,৭৪৮/=(এক কোটি আটষট্টি লাখ পয়ষট্র হাজার সাত শত আটচল্লিশ) টাকা চুক্তি মূল্যে ২০১৬ সালে কাজটি পায় নোনা টেড্রার্স নামক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ওই বছরের ২৮/৮/১৬ইং তারিখে কাজটি শুরু করে ২৭/৮/২০১৮ইং তারিখে কাজটি শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ১৮মাস সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও শেষ হয়নি (রাস্তার ক্ষেত্রে চেইনেজ সহ) ধুলা নিয়ন্ত্রণ,ক্যাম্প সাইটের বর্জ্য অপসারণ, বিশুদ্ধ পানি ও পয়নিস্কাশনের ব্যবস্থা ও স্যানিটেশনসহ ঘাট নির্মাণ কাজ। দীর্ঘ সময়ে ঘাট নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় বাজারের ব্যবসায়ী ভাই ভাই স্টোরের সত্বাধিকারী হাজ্বী আব্দুল বাতেন বলেন, নির্ধারিত সময়ে ঘাটের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় আমাদের কষ্ট আরো বেরে গেছে এবং পণ্য উঠা নামা করাতে অতিরিক্ত লেবার খরচ গুনতে হচ্ছে। মোদি দোকানি আলাউদ্দিন বলেন এই ঘাটের সাথে ৩টি শৌচাগার নির্মাণ করার কথা রয়েছে বলে আমরা শুনেছি কিন্তু ঘাট ও শৌচাগার কোনটিই হয়নি এতেবাজারের দোকানীরা খুব কষ্টে আছে। বাজারের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী সাতানী ইউপি চেয়ারম্যান সামসুউদ্দিন সরকার বলেন, বাজারের ঘাটটি দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করা প্রয়োজন কারন ঘাটটি সম্পূর্ণ হলে বাজারের দোকানীরা অনেক সুবিদা পাবে।
.
এবিষয়ে ঠিকাদার ইয়ার আহম্মেদ সেলিম বলেন, ঘাটের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায় কিন্তু রাস্তার জায়গার জটিলতার কারনে সম্পূর্ণ করতে পারিনি। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকারের সাথে কথা হয়েছে তিনি জায়গার মালিকের সাথে কথা বলে রাস্তার বিষয়টি সমাধান করে দিবেন বলে বলেছেন। উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ মুহিব উল্লাহ বলেন ঠিকাদারকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য কিন্তু ঠিকাদার আজ পর্যন্ত কাজটি সম্পূর্ণ করেনি। তবে সর্বশেষ জানুয়ারী মাসে ঠিকাদার সমন্বয় সভায় ঠিকাদার ইয়ার আহম্মেদ সেলিম কথা দিয়েছেন কাজটি দ্রুত করে দিবেন।

অপর দিকে কুমিল্লা জেলার নির্বাহী প্রকৌশলা খন্দকার আশাদুজ্জান বলেন, আমি নতুন এসেছি খোজ খবর নিয়ে কাজটি দ্রুত সম্পূর্ণ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করবো।