কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে মাটি কাঁটার মহা-উৎসব

অপরাধ

মোঃ জুয়েলরানা মজুমদার, কুমিল্লা থেকে :
হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কুমিল্লা জেলা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা অবৈধভাবে মাটি কাঁটা হচ্ছে।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলার প্রভাবশালী কয়েকটি চক্র এই এই মাটি কাঁটার সাথে জড়িত বলে জানা যায়। তাঁরা গুণবতী ইউনিয়ন দশবাহা গ্রামে, পদুয়া ইউনিয়নে পদুয়া বাজার, আলকরা ইউনিয়নে, জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের পায়ের খোলা, সোনাপুর গ্রামে, চিওড়া ইউনিয়নে সরপাটি, চাপিরতলা, বাতিসা ইউনিয়নে বসন্তপুর, ঘোলপাশা ইউনিয়নে সোনাকাটিয়া, হাড়িসর্দার, আমানগন্ডা, শুভপুর ইউনিয়নে ফকিরহাট, কাশীনগর ইউনিয়নে কাশীনগর বাজার, উজিরপুর ইউনিয়নে চান্দশ্রী, ভাটবাড়ী, সাহেবের টিলা গ্রাম অন্যতম।

শুধু ফসলি জমির মাটি কাঁটা নয় ভারতের সীমান্ত এলাকায় তাঁর কাঁটার ২০০ গজ সীমানার মধ্যে (নো ম্যানস ল্যান্ড) বন বিভাগের বা সরকারি খাস জমি মৌজা রাজনগর খতিয়ান নং ১ জেলা প্রশাসকের নামে এবং ৩ দাগ নং পক্ষে জেলা প্রশাসক মালিক বন বিভাগে সাবেক দাগ ৪০ বর্তমান দাগ নং ৪৯৫/৪৯৬/৪৮৬/৪৮৭ থেকেও মাটি কাঁটা হচ্ছে। এবং এসব মাটি বিভিন্ন ইঁট ভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে।

জানা যায় অবৈধ মাটি কাঁটা সিন্ডিকেটের সাথে প্রায় ইউপি মেম্বার, চেয়ারম্যান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বি,জি,বি) সহ রাজনৈতিক দলের নেতারা জড়িত।

গত ২১শে ডিসেম্বর ২২শে ডিসেম্বর ২৩ শে ডিসেম্বর ঘোলপাশা ইউনিয়ন আমান গন্ডা তাকিয়া আমগাছ মাদ্রাসা রোড শালুকিয়া রাজনগর মৌজা হইতে রুক মিয়ার ঘাট দিয়ে মাটি সীমান্ত এলাকা, বাবুচি সীমান্ত এলাকায় বাতিসা ইউনিয়ন বসন্তপুর সীমান্তে, জগন্নাথদীঘি ইউনিয়ন খিল্লাপাড়া, কোদালিয়া, বেতিয়ারা সীমান্তে রাতে মাটি দেখতে পেরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন কে রাতে বিষয় টি অবহিত করলেও কোন ব্যবস্হা নেননি। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তমালিকা কর্মকার কে বারবার ফোন করে রিসিভ না করাতে জানানো যায়নি।

স্থানীয় জনগণের সাথে আলোচনা করে জানা যায় সীমান্ত এলাকায় আইনি বিধি নিষেধের কারণে সাধারণত জনমানবহীন হওয়ার সুযোগে একটি মহল অতিরিক্ত সুবিধা বা অর্থের বিনিময়ে মাটি কাঁটা এমন কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। এবং এর ফলে ব্যাপক ফসলি জমি চাষবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বি,জি,বি) কোম্পানি কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মারুফুল আবদীন কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন ব্যক্তি মালিকানা জমি থেকে মাটি কাঁটা হচ্ছে এটা আমি জানি।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন কে জানতে চাইলে বলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যান কে বিষয় টা জানিয়েছি। এবং বলেন রাতে মোবাইল কোর্ট করা নিরাপদ নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.